গোস্ত বিতরণঃ স্বপ্ন-নাফিউ ফাউন্ডেশন কুরবানির গোস্ত অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে পৌছে দেয়, ফাউন্ডেশনে দান করা কুরবানীগুলো ইসলাম ধর্মের শরিয়াহ মোতাবেক যাচাই করার মাধ্যমে সঠিক হকদার মানুষ দের মধ্যে বন্টন করা হয়। বন্টন এর ক্ষেত্রে যারা কুরবানী দেয় নি ও কুরবানির গোস্ত যাদের কাছে পৌঁছায় নি তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে।
৫ টাকায় কুরবানিঃ স্বপ্ন-নাফিউ ফাউন্ডেশন মৌসুম ভিত্তিক সমাজের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে । সেই ধারাবাহিকতায় কুরবানি উপলক্ষে ‘৫ টাকায় কুরবানি’ নামক উদ্যোগটি চালু হয় । আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে ৫ টাকায় কুরবানি সম্ভব? ৫ টাকায় কুরবানি একটি গাণিতিক সংখ্যাবিশিষ্ট বাক্য মাত্র। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যাদের আত্মমর্যাদাবোধসহ সমাজে ভাল ইমেজ রয়েছে কিন্তু আর্থিক দিক থেকে তারা সামর্থহীন, তাদের অবস্থা অনুসারে তাদের কাছে কুরবানি দেওয়া একটি স্বপ্নের মত। সেই সব মানুষদের জন্যই “৫ টাকায় কুরবানি” এই উদ্যোগ।
কিভাবে বাস্তবায়ন হবেঃ সমাজের সামর্থবান, সমাজ সেবায় আগ্রহী ও সমাজ সেবায় চিন্তাশীল মানুষদের কাছ থেকে সহযোগীতার মাধ্যমে কিছু সংখ্যক কুরবানির পশু ক্রয়ের জন্য তহবিল গঠন করা। ক্রয়কৃত কুরবানির পশু যোগ্য মানুষদের কাছে ৫ টাকায় ক্রয় বিক্রয় নিয়ম অনুসারে বিক্রি করা।
কেন পশু ৫ টাকায় বিক্রিঃ কুরবানি সামর্থবানদের উপর ফরজ। ৫ টাকায় যে কেউ যে কোন কিছু কেনার সামর্থ রাখে। একটি প্রশ্ন আসতে পারে ৫ টাকায় বিক্রয় করার চাইতে দান করে দেওয়া কি উত্তম নয়? আমরা চাই যাকে এই কুরবানির পশুটি দেওয়া হবে তিনি যেন উপলব্ধি করেন তিনি তার সামর্থে কুরবানি দিচ্ছেন তাকে কেউ অনুগ্রহ করছে না।
আপনার কাছে আহবানঃ এই মহৎ উদ্যোগটি আপনার সামান্য অংশগ্রহণমূলক সহযোগীতার মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হতে পারে। আপনার এই ছোট্ট সহযোগীতাই একটি পরিবারে ফিরে আসতে পারে ঈদের আনন্দ। আল্লাহর অশেষ রহমতে এই অংশগ্রহণমূলক সহযোগীতা থেকেই আসতে পারে একটি পূর্ণ কুরবানির নেকি। আসুন এগিয়ে আসি, অংশিদার হই এই উদ্যোগের ও তাদের মাঝে একটি আনন্দময় ঈদ উপহার দিতে নিজের সামর্থ থেকে অবদান রাখি।।